বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫
আবুল হাসানের শ্রেষ্ঠ কবিতা
আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাসে মাত্র এক দশকের কাব্য-সাধনায় যিনি সম্পূর্ণযাত্রার নির্দিষ্টতা নিশ্চিত করেছিলেন, তিনি কবি আবুল হাসান। সৃষ্টি বীজমন্ত্রে আবুল হাসান তাঁর অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আপন আলোয়, নতুন দিনের সুর ব্যঞ্জনায়। আত্মগত দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, স্মৃতিমুগ্ধতা, নিঃসঙ্গভাবনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাঁর কবিতার মূল সুর। সেসবের আলেখ্য এবং অন্তর্গত রূপ তিনি কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। সার্থকভাবে প্রতিফলিত করেছেন পাঠকের কবিতাপ্রীতির আয়নায়।
একজন কবি হিসেবে আমরা যাকে কবিসুলভ ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করে থাকি আবুল হাসান ছিলেন তাই। কবিতার প্রতি পুরোপুরি সমর্পিত। নিজের কবিতা সম্পর্কে দারুণ উদ্বেলিত থাকতেন সবসময়। কোনো কবিতা সম্পর্কেই তিনি নিঃসংশয় ছিলেন না, কখনোই বলেননি-ভালো হয়েছে এবং সে কারণেই হয়তো তিনি নিরন্তর কবিতা লিখে যেতে পেরেছেন। এমন কি রোগসজ্জায়, ভ্রমণে অথবা ব্যক্তিগত আলাপচারিতার সময়েও তাঁর কণ্ঠে কবিতার কথা ঘুরেফিরে এসেছে। কবিতাই ছিল তাঁর একমাত্র আরাধ্য বিষয়। নারী, প্রেম, প্রকৃতি, দুঃখ, যন্ত্রণা, দাহ, কোনো কিছুই নয়, আবার সবকিছুই তাঁর কবিতার, একমাত্র কবিতার উপাদান হয়ে উঠেছে... আবুল হাসান-এর কবিতা তরুণ-প্রাণের নিরন্তর সঙ্গী, পাঠকদের সে কারণে আন্দোলিত করবে সবসময়...
তরুণ কবি ও গবেষক আহমেদ ফিরোজ-এর সুসম্পাদনা ও কবিতা নির্বাচন এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। কবিতার সঙ্গে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি-এ-গ্রন্থকে গবেষক ও কবিতাপ্রিয় পাঠকের কাছে আরো দরকারি করে তুলেছে।
0 Responses to “আবুল হাসানের শ্রেষ্ঠ কবিতা”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন