বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫
ককেশাসের বন্দী -- লিও টলস্টয়
লিও নিকলায়েভিচ টলস্টয় এর বিখ্যাত ছোটগল্প ককেশাসের বন্দী এর মুল প্রতিপাদ্য হল মুক্তির জন্য অক্লান্ত সংগ্রাম এবং সংগ্রামের মাধ্যমে অপরাজেয় মানুষের মুক্তির আনন্দ।
ককেশাসের বন্দী লিও তলস্তয় এর অন্যতম সেরা ছোট গল্প। এ গ্লপের কেন্দ্রিয় চরিত্র ঝিলিন রুশ সেনা বাহিনির একজন অফিসার। মায়ের চিঠি পেয়ে ঝিলিন তার সহকর্মী কস্তিলিনের সঙ্গে বাড়ি যাওয়া শুরু করে।বাড়ি যাওয়ার পথে ককেশাসে তাতার দের হাতে বন্দি হয় তারা দুজনেই। তারপর শুরু হয় দুঃসহ বন্দি জীবন থেকে মুক্তির অভিপ্রায় এ ঝিলিনের উপযুরপরি দুর্দমনীয় প্রচেষ্টা ও নিরন্তর জীবনপন সংগ্রাম। পরিশেষে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ প্রচেস্টা ও দুঃসাহসিক সংগ্রামের ফলে সে মুক্তিলাভ করে এবং মুক্তিপণ দিয়ে কস্তিলিনকে মুক্ত করে আনে। এই গল্পে ঝিলিন ও কস্তিলিন দুই বিপরীত মেরুর চরিত্র ।একজন সংগ্রামশীলতা, সাহসিকতা , ও মানবাত্মার প্রতীক । অন্যজন ভিরুতা , কাপুরুষতার ও মানবেতর অস্তিত্বের নিদর্শন । এই দুই বিপরীত চরিত্রের বৈপরীত্যের ভেতর দিয়ে লিও তলস্তয় মানুষের অপরাজেয় শক্তি ও সম্ভাবনার গৌরবোজ্জ্বল চিত্র অঙ্কন করেছেন এবং মানুষের সীমাহীন গরিমা ও মহিমাকে তুলে ধরেছেন ।লিও তলস্তয় তার অন্যসব রচনার মত এই গল্পে মানুশ ও জীবনকে স্থান দিয়েছেন সমস্ত কিছুর উরদ্ধে। মানব জীবনের অন্তর্গত স্বরূপ অভিব্যাক্তিময় হয়ে উঠেছে ককেশাসের বন্দী ছোট গল্পে।
গল্পকার তার প্রতিপাদ্যকে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ঝিলিনের বন্দিজীবনের কঠোর নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামশীলতার ও পরিণতিতে বন্দি জীবন থেকে মুক্তি লাভের আনন্দের মধ্যে দিয়ে শিল্পিত করেছেন। বন্দিত্বের দুর্যোগ ও দুর্বিপাক কষ্ট ও কদর্যতা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ও সুন্দর, সম্পন্ন ও আনন্দপূর্ণ জীবনলাভের আকাঙ্খা এই গল্পে মূর্ত হয়ে উঠেছে ঝিলিনের অনুভবে , অভিব্যক্তিতে ও প্রতিক্রিয়ায়। বস্তুত পক্ষে তলস্তয় এর সমস্ত প্রধান উপ্ন্যাস ও ছোট গল্পের মৌল বিষয় বস্তু সুন্দর জীবনের প্রতি আকাঙ্খা।
0 Responses to “ককেশাসের বন্দী -- লিও টলস্টয়”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন