বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫
ইন্দিরা গান্ধী (বায়োগ্রাফী) - পুপুল জয়কর (অনুবাদ লিয়াকত আলী খান )
ইন্দিরা গান্ধী (জীবনী) পুপুল জয়কর অনুবাদ লিয়াকত আলী খান ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম ভারতের রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী, ঐতিহ্যবাহী নেহেরু পরিবারে ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু এবং মা কমলা দেবী। দাদা মতিলাল নেহেরু ছিলেন স্বনামধন্য আইনজীবী, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব তথা কংগ্রেস নেতা। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন তিনি। ইন্দিরা গান্ধী বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। রবিঠাকুরই তার নাম রাখেন 'প্রিয়দর্শিনী'। ইন্দিরা গান্ধী হয়ে যান ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে যান এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেন। কিছুদিন ব্রিস্টলের ব্যাডমিন্টন স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং অঙ্ফোর্ডের সমারভিল কলেজে তার এনরোলমেন্ট সম্পন্ন হয়। ১৯৪২ সালে ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইন্দিরা। ১৯৫০ সাল থেকে তিনি আনঅফিশিয়ালি তার বাবা প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন এবং লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর কেবিনেটে তথ্য এবং যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ভারতরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত তামিলনাডুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট কুমারাস্বামী কামরাজের প্রয়াসের ভিত্তিতে ১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতের রাজনীতিতে আবির্ভূত হন। সে সময় ভারতের রাজনীতিতে কংগ্রেস দুটি দলে বিভক্ত ছিল, ইন্দিরা গান্ধী সমাজতান্ত্রিক ব্লকের এবং মোরারজি দেশাই দক্ষিণপন্থি ব্লকের নেতৃত্ব দেন। এই সময়ে দক্ষিণপন্থি ব্লকের গোঁয়ার্তুমির কারণে কংগ্রেস কিছুটা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় এবং ১৯৬৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৬০টি আসন হারিয়ে ফেলে ও ৫৪৫ আসনের মধ্যে ২৯৭টি আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেসের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সদাসচেষ্ট ইন্দিরা গান্ধী তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোরারজি দেশাইকে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার এবং ফিন্যান্স মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি, মোরারজি দেশাই গ্রুপের রক্ষণশীল সংকীর্ণ মনোভাবের কারণে অবশেষে কংগ্রেস বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৬৯ সালে তিনি ব্যাংকগুলোকে রাষ্ট্রায়ত্ত করেন। পরবর্তী দুই বছর ইন্দিরা গান্ধী প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক এবং কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর সমর্থন পরিপুষ্ট হয়ে সরকারের দায়িত্ব পালন করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে ইন্দিরা গান্ধীই ছিলেন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা নারী প্রধানমন্ত্রী।
ডাউনলোড করুন
0 Responses to “ইন্দিরা গান্ধী (বায়োগ্রাফী) - পুপুল জয়কর (অনুবাদ লিয়াকত আলী খান )”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন