বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫
বাঙালি জীবনে রমণী-নীরদচন্দ্র চৌধুরী
এই শতাব্দীর সেরা পণ্ডিত শ্রী নিরোদ চন্দ্র চৌধুরী বহু বছর আগে লিখেছিলেন ‘বাঙ্গালী জীবনে রমণী’ নামে এক অকাট্য প্রামাণ্য দলিল। নিরোদ বাবু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন, আবহমান বাংলার গ্রামগঞ্জে নারী-পুরুষ কীভাবে অবাধ এবং নীতিহীন যৌনাচারে মেতে ওঠে এবং সমাজসংসারকে ফাঁকি দিয়ে একের পর এক জারজ সন্তান পয়দা করে। প্রায় ষাট বছর হতে চলল, কিন্তু আজ অবধি নিরোদ বাবুর বইকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোনো বাঙালি লেখক কোনো বই রচনা করেননি।
দেশ-বিদেশের সমাজবিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানীরা বাবা-মায়ের অবৈধ সন্তানদের কতগুলো সাধারণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। প্রথমত, তারা কথায় কথায় অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে, যাকে আমরা সোজা বাংলায় বলি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। এরা খুবই অধৈর্য প্রকৃতির এবং সন্দেহপ্রবণ হয়ে থাকে। কখনো কখনো তারা অতিমাত্রায় অত্যাচারী হয়ে ওঠে, আবার একই ব্যক্তি প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে ছোট করতে করতে পশুর পর্যায়ে নিয়ে যায়। তাদের বিবেক বলতে তেমন কিছু থাকে না। ফলে তাবত্ বিশ্বে অনাদিকাল থেকে বাবা-মায়ের অবৈধ সন্তানরা সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি পরিবার কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়ে আসছে।
0 Responses to “বাঙালি জীবনে রমণী-নীরদচন্দ্র চৌধুরী”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন