মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০১৫
বাংলাদেশ: রাষ্ট্র ও সমাজ (সামাজিক অর্থনীতির স্বরূপ) - অনুপম সেন
প্রফেসর ড. অনুপম সেন বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে যেমন লিখেছেন, তেমনি বাঙালির অর্থনীতি, সমাজনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস নিয়েও লিখেছেন সমানভাবে। ব্যক্তি থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্রু গঠনের যে প্রক্রিয়া-সে সম্পর্কে তিনি তাঁর ব্যক্তি ও রাষ্ট্র: সমাজ-বিন্যাস ও সমাজ-দর্শনের আলোকে গ্রন্থে বলেছেন-‘উপজাতীয় সমাজের বিবর্তনের মাধ্যমে যখন থেকে রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে, তখন থেকেই রাস্ট্র ও ব্যক্তির সম্পর্ক মানুষকে ভাবিয়েছে। একসময় প্রতিটি সমাজই উপজাতীয় সমাজ ছিল। ইতিহাসে আমরা দেখি, রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে আজ থেকে ৭/৮ হাজার বছর আগে টাইগ্রিস, ইউফ্রেটিস, নীলনদ, হোয়াংগো ও সিন্ধুর অববাহিকায়। অন্যান্য অঞ্চলে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে আরো অনেক পরে। মানুষ যখন থেকে যথবদ্ধভাবে সমাজে বাস করতে শুরু করে, তখন থেকেই সে সামাজিক সংগঠনকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে নানা প্রথা-নিয়ম-কানুন সৃষ্টি করে। এইসব প্রথা ও নিয়ম-কানুনের উপর ভিত্তি করে যে সামাজিক চিন্তার বিকাশ,সমাজবিজ্ঞানীরা তাকেই লোক-জ্ঞান বা Folk Wisdom হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গোড়াপত্তন হাজার বছরের অধিককালের। আর্য-অনার্য নিয়ে এখানে যে জাতিসত্তার উদ্ভব হয়েছিল, অনেক বিবর্তন-পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তা বাঙালি জাতীয়তাবাদে রূপ নেয়। কালের পরিক্রমায় ধীরে ধীরে এখানকার মানুষ ভাষা ও সংস্কৃতিতে যেমন আত্মপরিচয় ও আত্মচেতনার সন্ধান পায়, তেমনি জীবন-জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে এবং স্বভাবগত দিক থেকেও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বলীয়ান হয়ে ওঠে এই ভূখণ্ডের মানুষগুলো। মানবজাতির নানা বৈচিত্রময় ইতিহাসে বাঙালির যে একটি পৃথক সত্তা তৈরি হয়েছে, এর পেছনে রয়েছে বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রাম, ত্যাগ, নানা ঘাতে প্রতিঘাত ও প্রতিবন্ধকতার ইতিহাস। বাঙালি এই যে শত-সহস্র প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলা, আত্মপরিচয়ের সন্ধান লাভ-এর ধারাবাহিক ইতিহাস অত্যন্ত সুচিচিন্তভাবে এবং সুচারুভাবে যে ক’জন বাঙালি মনীষা লিপিবদ্ধ করেছেন, তাঁদের অন্যতম একজন পরম শ্রদ্ধেয় ড. অনুপম সেন।
ডাউনলোড করুন বইটি Tags: অর্থনীতি , সামাজিক বিজ্ঞান
0 Responses to “বাংলাদেশ: রাষ্ট্র ও সমাজ (সামাজিক অর্থনীতির স্বরূপ) - অনুপম সেন”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন